সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে দায়ের করা মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোড এলাকায় তাদের ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মামলার প্রধান আসামি মো: তৌহিদুল ইসলাম (২৪) এবং তার বাবা মো: জাহাঙ্গীর কবির।
এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কামরুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে- চলতি বছর মামলার আসামি মো: তৌহিদুল ইসলামের সাথে ২০ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিবাহ হয় মামলার বাদীনি রাবেয়া বসরী মিতুর (২২)। বিবাহের কিছু দিন ভালই চলছিলো তাদের সংসার জীবন। তারা একত্রে ঢাকা জেলার কলাবাগান থানার লেক সার্কাস (৪র্থ তলা) উত্তরপাশে একত্রে বাসবাস করতেন।
বিবাহের কিছুদিন পরে মিতুর স্বামী তার কাছ থেকে যৌতুক দাবি করেন। দাবির প্রেক্ষিতে মিতু মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ ক্রয় করার জন্য তার বাবার কাছ থেকে এনে যৌতুক বাবদ প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেয় মো: তৌহিদুল ইসলামকে। এ টাকা পাওয়ার পরেও মামলার ২ ও ৩ নম্বর আসামির প্ররোচনায় যৌতুকের দাবিতে মিতুকে আরও টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে আসামি মো: তৌহিদুল ইসলাম মামলার বাদীনি মিতুর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে ওষুধের ব্যবসা করার জন্য। মিতু এত টাকা দিতে না চাইলে আসা তৌহিদুল ইসলাম তাকে তালাক দিয়ে মোটা অংকের টাকা যৌতুক নিয়া অন্যত্র বিবাহ করবে বলে হুমকি দেন।
ঘটনার কয়েকদিন পর তৌহিদুল ইসলাম তার বাবা ও মাকে নিয়ে বাদীনির বাসায় গিয়ে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিতে চাইলে মামলার ২ ও ৩ নম্বর আসামির প্ররোচনায় তৌহিদুল ইসলাম মিতুকে মারধর করেন। এসময় তৌহিদুল ইসলামের বাবা-মা মামলার ২ ও ৩ নম্বর আসামিও মিতুকে মারধর করে। আসামিদের মারধরে মিতু অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতাল থেকে ফিরে মিতু থানায় মামলা দায়ের করতে চাইলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেয়। পরে মিতু ঢাকায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে তৌহিদুল ইসলাম, তার বাবা জাহাঙ্গীর কবির (৫০) ও তার মা মোসাম্মৎ রোকেয়া খানমকে (৪২) আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্ততারি পরোয়ানা বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানায় আসলে থানা পুলিশ মামলার ১ নম্বর আসামি মো: তৌহিদুল ইসলাম ও ২ নম্বর আসামি জাহাঙ্গীর কবিরকে আটক করে।
মামলার বাদীনি রাবেয়া বসরী মিতু এ প্রতিবেদককে জানান, আসামি তৌহিদুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে পড়ার কথা বলে একাধিক মেয়র সাথে সম্পর্ক তৈরি করেন। পরে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান। তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে অশ্লালীন অঙ্গভঙ্গি করে ছবিও দেন। যার প্রমাণ তিনি এই প্রতিবেদককের কাছেও রয়েছে। তৌহিদুল ইসলাম একজন প্রতারক বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply